বাংলাদেশে চালু হছ্চে ভাচূয়াল কার্ড

বাংলাদেশে চালু হছ্চে ভাচূয়াল কার্ড এর সুবিধা গুলো যা আপনাকে নিয়ে যাবে আর এক ধাপ সামনে, যা দিয়ে আপনি আপনাকে যে কোন ধরনের পেমেন্ট পে কারতে এবং পেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি অনলাইনে লেনদেনের সুযোগ না থাকায় মোবাইল অ্যাপ ডেভলপারস, ফ্রীল্যান্সার বা গেইম নির্মাণকারীদের আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি বাজারের সাথে যুক্ত হওয়ার কোন সুযোগ ছিলনা।
আর এই অসুবিধার কথা চিন্তার করেই প্রযুক্তি খাতকে আরো বেশি সমৃদ্ধশালী করতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রচেষ্টায় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে অনুমোদন পেল ভার্চুয়াল কার্ড।
জুন ০২, ২০১৪ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায় যে ইন্টারনাশনাল চেম্বার অব কমার্স-এর অর্ন্তভূক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন এবং গেম নির্মাণকারীদের আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের জন্য ‘ভার্চুয়াল কার্ড’ ইস্যু করবার সুবিধা প্রদান করবে।
এ কার্ড দিয়ে গুগল, আইটিউনস, ফায়ারফক্স, উইন্ডোজ, ব্ল্যাকবেরিসহ এ ধরণের আরও অন্যান্য মোবাইল মার্কেটপ্লেসের নিবন্ধন/লাইসেন্স ফি প্রদান করা যাবে। পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং গেম ডেভেলপমেন্টের জন্য নির্দিষ্ট গেম ইঞ্জিন এবং সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার ব্যবহারের লাইসেন্স ফিসমূহ দেয়া যাবে।
প্রয়োজনীয় ডোমেইন/হোস্টিং ক্রয় বা পুনর্বহালকরণ, ক্লাউড সেবা ক্রয়ের অর্থ প্রদানেও এ কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও অনলাইনে আয়োজিত নানা ধরনের প্রশিক্ষণে কর্মসূচির অর্থ প্রদান করা যাবে এ কার্ড দিয়ে।
জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপস উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতাবৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় অংশগ্রহণকারী ডেভেলাপার, বেসিস বা এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং অন্যান্য স্বীকৃত একাডেমিক বা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আয়োজিত নানা ধরণের বুট ক্যাম্প, প্রশিক্ষণ কর্মশালা ইত্যাদিতে সনদপ্রাপ্ত ডেভেলপার ও ফ্রীল্যান্সারগণ অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
এই উদ্যোগের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে সংযুক্ত হওয়ার পথে বাংলাদেশী ডেভেলাপারদের প্রধান বাঁধা দূর হলো।
তবে এ কার্ড দিয়ে এক বছরে ৩০০ মার্কিন ডলার বা তার সমমূল্যের বেশি অর্থ লেনদেন করা সম্ভব হবে না। তবে বিভিন্ন বছরে ৩০০ ডলার লেনদেন খুবই সামান্য বলে জানিয়েছেন সিনিয়র অ্যাপ ডেভেলাপাররা।


Comments