টুইটার ব্যবহারে মানষিকভাবে বিকারগ্রস্থ হতে পারে!





জার্নাল অব নার্ভাস এন্ড মেন্টাল ডিজিজ- এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এক গবেষণা তত্ত্বে জানা যায়, অতিরিক্ত টুইটার ব্যবহারে মানষিকভাবে বিকারগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গবেষকরা। ‘টুইটার সাইকোসিস ঃ এ রেয়ার ভেরিয়েশন অর ডিসটিনক্ট সিনড্রম’ শিরোনাম ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত। জার্মানীর শাখাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন স্কুলের একদল চিকিৎসকের এক গবেষণায় এ তত্ত্বটি উঠে এসেছে। তবে টুইটার ব্যবহারের ফলেই এমনটি হবে এমন কোনো দাবি করেননি গবেষকরা। তবে গবেষক দলের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাইকিয়াট্রি ও সাইকোথেরাপি’ বিভাগের শিক্ষক জ্যাঁ ক্যালবিৎজার যেমন বলছিলেন, এটি একটি স্বতন্ত্র বিষয়। আমাদের সহকর্মীরা এ ধরনের কোনো অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন কি না তা জানার জন্য আমরা আমরা বিষয়টি মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের সামনে পেশ করেছি।
এদিকে অধিক পরিমাণে টুইটার ব্যবহারকারী ৩১ বছর বয়সী এক জার্মান নারী ‘আত্মঘাতি’ চিন্তাচেতনা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হন। নারীর জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা নিয়ে গবেষণা করে এমন সম্ভাবনার কথা জানান তারা। তার বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা জানান, কিছুদিন আগে তিনি অধিক পরিমাণে টুইটার আশক্ত হয়ে পড়েন। টুইটারের প্রতি তার আশক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা একনাগারে টুইটারে বার্তা পোস্ট করেন এবং অন্যের পোস্ট করা বার্তা পড়ে সময় কাটান। এমনকি খাওয়া-দাওয়ার সময়ও একদিকে খেতেন এবং অন্যদিকে টুইট পোস্টি করতেন। এক সময় তিনি অনুভব করেন, তার বার্তাগুলোর জবাব দিচ্ছেন বিখ্যাত এক অভিনেতা। এর মাস দুয়েক পর তিনি বাস্তব জীবনেও এমন ঘটনা ঘটছে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। উপায়ান্তু না পেয়ে ভর্তি হন মানষিক হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তির পর অবশ্য এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং তিনি সব ধরনের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার বাদ দিয়েছেন। পক্ষান্তরে ওই নারীর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিতে রাজি নন খোদ গবেষকরাই। তাই বলে এ ধরনের সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। সূত্র- ইন্টারনেট



Comments